বিয়ে না হলেও তিন বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন আলী নূর বিশ্বাস ও আহিনা খাতুন।তবে সম্প্রতি নূর বিশ্বাস গ্রামে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় ক্রোধে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন আহিনা খাতুন।
বু্ধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত র্যাবের ব্রিফিংয়ে র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন এসব তথ্য জানান।
এর আগে, সাভারের আশুলিয়ায় এমন ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল আসামি আহিনা খাতুনকে (২৯) নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মাগুড়া জেলার শ্রীপুর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আলী নূর বিশ্বাস চাকরির সন্ধানে ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে প্রথমে গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।আসামি আহিনা খাতুনের বক্তব্য অনুযায়ী প্রায় তিন বছর আগে ভিকটিমের সঙ্গে তার পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে গভীর সখ্য গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা দুজনই বিবাহ ছাড়াই নিজ নিজ পরিবারকে না জানিয়েই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। এই তিন বছরে তারা পাঁচ বার বাসা পরিবর্তন করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন জানান, অহিনাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে জুলাই মাসের শুরুতে হত্যার শিকার আলী নূর বিশ্বাস কিছু দিনের জন্য গ্রামের বাড়ি যায়। ওই সময় ভুক্তভোগী অন্য একটি মেয়ে করেন। এ ঘটনা আহিনা খাতুন জানতে পেরে আহিনার মনে ক্রোধ এবং প্রতিহিংসার সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে আলী নূরকে গোপনে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তাদের মধ্যকার মান-অভিমান চলতে থাকলেও কৌশলে ২৯ জুলাই আশুলিয়ার জিরাবো নামাপাড়া এলাকায় দেলোয়ার বেপারীর টিনশেড বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতে শুরু করেন। ৩০ জুলাই রাতের খাবার শেষে উভয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। আহিনা খাতুন সেদিন ভোররাতে আলী নূরকে ঘুমন্ত অবস্থায় বটি দিয়ে মাথা, গলা এবং বুকে নৃশংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন।