রাজনীতি যখন বিনিয়োগ

বায়েজিদ মিল্কী

জুন ২৫, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম

রাজনীতি যখন বিনিয়োগ

ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি যখন থেকে বিনিয়োগ আর ব্যবসায় পরিণত হলো, তখন থেকেই বিপর্যয়ের শুরু। বিপর্যয় কিছুটা ব্যবসার আর অনেকখানি রাজনীতির।

বিনিয়োগ করলেই লাভ। বিনিয়োগ হচ্ছে ব্যবসার একটা ধাপ বা ধাপের শুরু। একজন ব্যবসায়ী একশ টাকা বিনিয়োগ করলে অন্তত ১১০ টাকা সেখান থেকে বের করে আনার চিন্তা করে। আর সেই বিনিয়োগ যদি কয়েকগুণ বা শতগুণ লাভ এনে দেয় তাহলে তো কথাই নেই।

রাজনীতিতে বিনিয়োগ অনেকটা সেরকমই। যেখানে লাভের নিশ্চয়তা এবং পরিমাণ অনেক অনেক বেশি। এ কারণেই এখানে বিনিয়োগের জন্য লোকের অভাব হয় না। লাভ বেশি, দ্রুত সম্পদশালী হবার সহজ এবং নিরাপদ রাস্তা। এ কারণে গত কয়েক দশক ধরে রাজনীতিতে বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে।

এসব নিয়ে বিস্তর লেখা এবং রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আনাগোনা কমেনি। গত কয়েকটি নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাবার কারণে ভোটে মানুষের আস্থা ও আগ্রহ কমেছে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে জড়ানোটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সেটা যদি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত লাভের আশায় হয় তাহলে সমস্যা। অবশ্য বিনিয়োগের ভালো জায়গা পেলে কেন তারা সেটা করবেন না, সেটাও একটা প্রশ্ন। ব্যবসায় লাভেব আশা নিশ্চয়ই দোষের নয়। লাভ দোষের নয়, কিন্তু লোভে আশা দোষের। রাজনীতি দোষের নয়, রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা নিশ্চয়ই দোষের।

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। কিন্তু ব্যবসায়ী বা অন্য কেউ যদি রাজনীতিবিদ হন তাহলে সমস্যা কোথায়। সেটা হলে সমস্যা নাই, কিন্তু রাজনীতি নিয়ে বা রাজনীতি দিয়ে ব্যবসা করলে সমস্যা। সমস্যা দিনদিনই বাড়ছে আর সমাধান হয়ে যাচ্ছে সুদূরপরাহত।

রাজনীতি যিনি করবেন সেটাই হবে তার ধ্যান, জ্ঞান, জীবন, জীবিকার একমাত্র পথ ও পাথেও। সেটা সৎ জীবিকার পথ হলে কোনো প্রশ্ন উঠতো না। সেটা হয়নি বলেই এত ঝামেলা, বিতর্ক, বিপত্তি, বিপর্যয়। ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ডাক্তার ইন্জিনিয়ার, সাবেক বিচারকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যখন রাজনীতি না করে সরাসরি ভোট করা শুরু করলেন তখন বিপত্তি আরো বাড়লো।

রাজনীতিকে মহান, জনপ্রিয়, জনবান্ধব, মানবিক এবং সেবাধর্মী অনেক বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। সেটা না করে আর দশটা পেশার মত সাধারণ, সবার কাছের এবং চেনা পেশায় পরিণত করা হতো তাহলে হয়তো ভালো হতো। এসব নিয়ে অনেক কথা অনেক বিতর্ক হয়েছে কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। রাজনীতি তার মতই চলেছে আর বিনিয়োগকারীরাও লাভের সহজ রাস্তা খুঁজে নিতে ভুল করেননি।

জনতার কথা বলে রাজনীতি করা হয়। তাদের কাধে ভর করেই সবকিছু। অথচ সাধারণ মানুষের কোনো মূল্য বা মূল্যায়ন নেই বলেই রাজনীতি চলে গেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, তৈরি হয়েছে হতাশা। রাজনীতি চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হতে, হয়ে গেছে ব্যবসা, লাভজনক পণ্য। শুনতে খারাপ লাগতে পারে কিন্তু এটাই সত্য, আর এ কারণেই আবার সব কিছু নতুন করে ভাবতে হবে, নয়তো এই সংকট কোনো দিনই শেষ হবে না।

আবারো বলছি একজন ব্যবসায়ী রাজনীতি করতেই পারেন, রাজনীতিতে বিনিয়োগ করতে পারেন, কিন্তু রাজনীতিকেই বিনিয়োগ বানিয়ে ফেললে সমস্যা। রাজনীতিকে বিনিয়োগ বানিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। সেটা যেমন করছেন ব্যবসায়ীরা, তেমনি করছেন রাজনীতিকরা।

ব্যবসায়ীদের কাছে দ্বারস্ত হবার আরেকটা কারণ হচ্ছে রাজনীতি এখন বিরাট খরচের একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব কিছুতেই মেলা খরচ। রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়া থেকে শুরু করে প্রচার প্রচারণা অফিস চালানো বা একটা দলের প্রতিদিনকার খরচ সবই অনেক বেশি।  

খরচ বলা যায় রাজনীতিবদিদের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছ। সেই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পকেট খরচ। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে। সব মিলে খরচের একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটা রাজনীতিবীদরা আর সামাল দিতে পারছে না বলেই ধর্ণা দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে।

ব্যবসায়ীরাও সেই সূযোগটা নিচ্ছেন, এটাকে বিনিয়োগের একটা উত্তম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কারণ অনেক লাভ আবার অনেক দিক থেকে লাভ –পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ। সরাসরি লাভের চেয়ে আড়ালের লাভ আরও বেশি। এটা এমন একটা বিনিয়োগ যেখানে লোকসানের কোনো আশংকাই নেই।

তবে বিনিযোগকারীর লাভ নিশ্চিত করতে সেই রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই ক্ষমতায় আসতে হবে। নয়তো সেই ব্যবসায়ীকে সেই দল বাড়তি সুবিধা দিতে পারবে না। এ কারণে যে কোনো ভাবেই হোক ক্ষমতায় যাওয়া জরুরি হয়ে ওঠে। রাজনীতি হয়ে ওঠে ক্ষমতার রাজনীতি সেই সাথে ক্ষমতাবানদের।

নির্বাচনের সময় খরচ আরও বেড়ে যায়। বিনিয়োগ সেখানে আরো বাড়ে, প্রাপ্তির আশাও বাড়ে। শুধু আশা নয় আয়ও বাড়ে। ভোটের টাকা যে কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায় কোনো কিছুরই হিসাব থাকে না। আর এ কারণেই আয় ব্যয় দুই জায়গাতেই বেশি সুবিধা।

দলকে টাকা দিতে হয়, নেতাকে দিতে হয়, কর্মীরাও কিছু ভাগ পায়। টাকা যায় প্রচার প্রচারণায়। চা পানি খাওয়ার জন্যও খরচ হয়ে যায় লাখ লাখ টাকা। এই সব টাকা ভোটারদের কতটা কাজে আসে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও নেতাকর্মীদের পেট এবং পকেট যে ভরে তা নিয়ে সন্দেহ থাকে না। ভোটাররা বলেন এইসব টাকা কেউ নিলেও সেটা তার কোনো কাজে আস না। যেভাবে আসে সেভাবেই চলে যায়।

এত টাকা খরচ করার পেছনে একজন ব্যবসায়ীর প্রথম টার্গেট থাকে কত দ্রুত কত গুণ টাকা তিনি ফিরিয়ে আনা যায়। ব্যবসায়ীরা তখন দল এবং ক্ষমতাকে ব্যবহার করে টাকা কামানোর রাস্তা খুজতে থাকেন। টাকা ভাল কাজ করেও কামানো যায়, কিন্তু তাতে বিস্তর সময় লেগে যেতে পারে, আর কষ্টও অনেক। দ্রুত টাকা কামানোর জন্য সোজা পথে না চলে, বাঁকা পথের সন্ধান করতে হয়।

একটি রাজনৈতিক দলকে তার আয় ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দিতে হয়। নির্বাচনের সময় কত টাকা খরচ করা যাবে, সেটারও একটা বিধি বিধান আছে। কিন্তু সেগুলো নিতান্তই আটপৌরে আনুষ্ঠানিকতা। হিসাব যেটা নির্বাচন কমিশন যায় সেটার সাথে বাস্তবের হিসাবের বিস্তর ফারাক। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। রাজনৈতিক দলকে হিসাব দিতে হয়। সেটা দিলেই হলো।

তবে নির্বাচন কমিশন নিয়ম করেই হিসাব নেয়, নির্বাচনের সময় খরচের মাত্রা, বিধি-নিষেধ সবই ঠিক করে দেয়। কিন্তু কেউ সেটা মানছে কিনা সেটা দেখেও দেখে না বা দেখার ক্ষমতা রাখে না। বুঝলেও রুখবার ক্ষমতা রাখে না। তাই রাজনৈতিক দল এবং ভোটের খরচ দিনদিনই দেদারসে বাড়ছে বা বাড়ছিল। আর এই সব বাড়াবাড়ির কারণেই নির্বাচনী ব্যবস্থা, ভোট এসবের ওপর জনগণের আস্থা এবং আগ্রহ দিনদিনই কমেছে। গণতন্ত্র গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে।

আর রাজনীতি করা সাধারণ মানুষের জন্য, বিশেষ করে যাদের টাকা নেই তাদের জন্য অসম্ভব কঠিন হয়ে উঠছে। তারা চাইলেও রাজনীতি বা নির্বাচন করতে পারেন না বা পারছেন না। কারণ শুধু রাজনীতি করে জনগণকে ভালোবেশে কেউ রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারছে না। আর ভোট করা বা মনোনয়ন পাওয়া আরও কঠিন। 

অসম এক প্রতিযোগিতায় রাজনীতিবিদরা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছেন। টিকে থাকতে হলে, হয় তাদের টাকার মালিক হতে হবে বা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষমতাধর হতে হবে। সেই দৌড়ে প্রকৃত রাজনীতিকরা অনেকটাই পিছিয়ে।

সুস্থ্য ধারার রাজনীতি, রাজনীতি করার অধিকার এবং সক্ষমতা সেই সাথে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পুরো ধ্যাণ-ধারণাই হয়তো পাল্টাতে হবে। প্রথমত: রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর মানে এই নয় যে আর কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না।

তবে তাকে আগে রাজনীতিবিদ হতে হবে। রাজনীতি মূখ্য। পরে অন্যকিছু। তুণমূল হয়ে, রাজনৈতিক কর্মী হয়ে সব স্তরে কাজ করে কর্মীদের সমর্থনের মাধ্যমে নেতা হতে হবে। নেতা নির্বাচিত হবেন একেবারেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। দলের কর্মীরা যাকে সমর্থন দেবেন, কেবল তিনিই নেতা হতে পারবেন। আর কেউ নয়।

বলতে পারেন এখন তো তাই হচ্ছে, নেতাকর্মীদের সমর্থন না থাকলে তো কেউ নেতা হতে পারেন না। কিন্তু তা কি হচ্ছে। এখন তো কর্মীদের সমর্থন কিনতে হয়। নমিনেশন বা প্রার্থীতা সবই কিনতে হয় টাকার বিনিময়ে। টাকা না থাকলে তো কারু পক্ষেই নেতা হওয়া সম্ভব না। এ কারণেই তো রাজনীতি হয়ে গেছে নিতান্তই বিনিয়োগ। টাকাই সব কিছু।

কর্মীদের গোপন ভোটে নেতা নির্বাচিত হবেন। আর দল প্রার্থীতা নির্বাচন করবে কোনো কিছুর বিনিময় বা বিনিয়োগে ছাড়া। এও কি সম্ভব। কেন নয়। আগে তো হয়েছে। আবারো হবে। Back to the future. না হলে কিছুই হবে না। একই গড্ডালিকা প্রবাহ, একই ঘুরপাকে দুর্নিবার দুর্বিপাকে। মানুষ নিজে যদি না বদলায়, স্বভাব যদি না বদলায় কোনো সংস্কারই কোনো কাজে আসবে না।

ব্যবসা যিনি করেন কিংবা অন্য কোনো পেশায় আছেন তাকে রাজনীতি করতে হলে। একেবারে নীচে থেকে শুরু করতে হবে। তিনি কত দ্রুত উপরে উঠতে পারবেন, নেতা নির্বাচিত হতে পারবেন সেটা তার কাজের উপর নির্ভর করবে। এতে দলের মধ্যে গণতন্ত্র এবং পেশাদারিত্ব তৈরি হবে। সুস্থ্য প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। And politics will be only for the politicians and political elements.

রাজনীতি যে কেউ করতে পারেন, সেই অধিকার অবশ্যই তার আছে। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে তিনি রাজনীতি করবেন সেটা তার এবং যাদের জন্য করবেন সবার কাছে স্পষ্ট হওয়া দরকার। ব্যক্তি স্বার্থ এবং ব্যক্তিগত লাভ-লোকসান যখন রাজনীতি করার একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

আবার এটাও তো প্রশ্ন যদি কোনো প্রাপ্তিই না থাকে তবে কেন একজন মানুষ রাজনীতিতে আসবেন। খ্যাতি, জনপ্রিয়তা, মানুষকে সেবা করার সূযোগ, আইন প্রণয়ণ এ রকম অনেকগুলো কারণ তো আছেই। সেই সাথে আছে রাষ্ট্র পরিচালনার বিশেষ সূযোগ। সব মিলে রাজনীতি করার আকর্ষণ তো কম নয়।

রাজনীতি সবাই করতে পারেন, সাবেক আমলা, ব্যবসায়ী, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইনজীবী, সংবাদ কর্মী বা যে কেউ। বাধা দেয়ার কেউ নেই, কোনো কারণও নেই। কিন্তু সবাই এটাকে যদি বিনিয়োগ হিসাবে নিতে চান তখন হিসাবের গোলমাল হতেই পারে।

তাহলে পরিত্রাণের উপায় কি?

রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে, অথবা যারা রাজনীতিতে আসবেন তারা রাজনীতি করার জন্যই আসবেন। বিনিয়োগ বা ব্যবসার জন্য নয়। যে যে পেশা থেকই আাসুন তাকে পেশাদার রাজনীতিক হতে হবে। এর বাইরে তার আর কিছু করার বা ভাবার প্রয়োজন হবে না। রাজনৈতিক চর্চ্চায় অভ্যস্ত হতে হবে। রাজনীতির জন্যই রাজনীতি করতে হবে।

রাজনীতিকে জনকল্যাণকর করতে হবে। ব্যবসা-বিনিয়োগ বা ব্যক্তি লাভের জন্য নয় জনতার লাভেব জন্য। মানবিক এবং সাধারণ, মাটির কাছাকাছি। গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। যে সব কথা বলে বা কারণ দেখিয়ে, রাজনীতি বা ভোট করার কথা বলেন রাজনীতিবিদরা, সেটাই করতে হবে।

খরচ কমিয়ে আনতে হবে। সারা বছরই রাজনীতির একটা খরচ আছে। দলের, কর্মীদের এবং বিশেষ করে নেতাদের। এসব খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। যত বিনিয়োগ যত টাকা খরচ তত বেশি লাভের আশা, সেটাই তো লোভ। 

রাজনৈতিক অঙ্গনের বেশিরভাগ খরচই মানুষের কোনো কাজে আসে না। বিশেষ করে ভোটের সময়। টাকা দিয়ে নিশ্চয়ই মানুষের বিশ্বাস বা আস্থা কেনা যায় না। যে টাকা নেয় সে যদি বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাকে বিশেষ দোষ দেয়া যাবে কি। সব কিছুই যদি কেনা যেত তাহলে সবই তো কেনা যেতো।

খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। দল যদি চায়। যদি নির্বাচনী ব্যবস্থাপকরা সক্রিয় হন। এবং যা যা পাবার আশায় রাজনীতিতে বিনিয়োগ হয় প্রাপ্তির সেই পথগুলো ছোট করে আনা যায়। এক সময় সেটা নিজে নিজেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে যদি বাড়তি লাভ আর না দেয়। কঠিন কাজ, তবে অসম্ভব নয়। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে রাজনৈতিক দুবৃত্তায়ণ, রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা কোনো কালেই বন্ধ হবে না।

 

লেখক: লেখক, গবেষক, সাংবাদিক।

  • লেখায় প্রকাশিত মতামত লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব। লেখাটি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সম্পাদকীয় অবস্থানের প্রতিফলন ঘটায় না।

Link copied!