এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১২ স্থাপনাকে ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ৮৮শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ,সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রসহ আরও ২০টি স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন পূর্ব ও দক্ষিণ গোড়ান, কামরাঙ্গীরচর, ইসলামপুর, পূর্ব জুরাইন ও মাতুয়াইল এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ও দক্ষিণ গোড়ান ৩৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন ও ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান।
আদালত এ সময় ৩টি আবাসিক ভবনকে ৪৫ হাজার টাকা এবং `সামি মেটাল` নামক তৈজসপত্র প্রস্তুতকারক (বাসন-কোসন, হাঁড়ি-পাতিল প্রস্তুতকারী) কোম্পানিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকায় ৩৬টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় আদালত এ সময় ৩ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জুরাইন এলাকায় ২১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযানে সর্বমোট ১৮১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১২ মামলায় সর্বমোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।