মাথায় রাখতে হবে এমন কোনো চাপ নাই যা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম

মাথায় রাখতে হবে এমন কোনো চাপ নাই যা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে

দেশের বাইরে থেকে যে চাপই আসুক না কেন জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরকার করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “এমন কোনো চাপ নাই, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে। কারণ, আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ; আর উপরে আল্লাহ আছে; আর আমার বাবার আশির্বাদের হাত আমার মাথায় আছে ।“

জাতিসংঘ এলডিসি সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধানন্ত্রীর কাতার সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করতে  সোমবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটর পোস্টে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী  অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হয়রানি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠি ছাপা হয়। ওই চিঠির ধরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ  হাসিনার ওপর কোনো আন্তর্জাতিক চাপ আছে কিনা জানতে চান এক সাংবাদিক।

এর জবাবে সরকারপ্রধান বলেন,  “এই রকম চাপতো ছিল, পদ্মাসেতুর আগেতো কম চাপ দেওয়া হয়নি। কোনো একটা দেশের একেবারে সেই অ্যাম্বাসেডর থেকে শুরু করে, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টেলিফোনের উপর টেলিফোন, হেনতেন…।কাজেই, কে কি চাপ দিল, না দিল- এতে কিছু আমাদের আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার আমরা সেটাই করব। জনগণের কল্যাণে যেই কাজ করার সেটাই করব।” 

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,  “কেন? একটা ভদ্রলোক একটি ব্যাংকে এমডি, তাকে এমডি পদে রাখতে হবে। এমডি পদে কী মধু, তাতো আমি জানি না। আইনে আছে ৬০ বছর, হয়ে গেছে ৭০ বছর বয়স। তারপরেও এমডি পদে থাকতে হবে। একটাই হয় এমডি পদে থাকবে বোধহয় মানি লন্ডারিং করা যায়, এইতো সুবিধা। পয়সা বানানো যায়, পয়সা মারা যায়, গরীবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়।” 

সরকারপ্রধান বলেন, “সেই চাপও কিন্তু শেখ হাসিনা সহ্য করে চলে আসছে। তারপর নিজের পয়সায় পদ্মা সেতু বানায়া তাদেরকে দেখালাম, ওই চাপে আমাদের কিছু আসে যায় না। ঠিক আছে? আর কিছু লাগবে?” 

ওয়াশিংটন পোষ্টে প্রকাশিত ওই খোলা চিঠির বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা বিবৃতি তো না, এটা একটা বিজ্ঞাপন। এবং যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে, এটার কী (উত্তর) দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। 

“আমার প্রশ্নটা হল, যিনি এত নামিদামি, নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন আর কিছু না। যে, অ্যাড দিতে হল কেন?” 

Link copied!