মে ২২, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য ৬২৬ জন বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কিছু কুচক্রী মহলের কারণে দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে।
হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মব জাস্টিসের কারণে নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। ফলে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
আইএসপিআরের মতে, পরিচয় যাচাইয়ের আগেই জীবনরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আশ্রয়প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ২৪ জন রাজনীতিক, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও ৫১ জন নারী-শিশুসহ মোট ৬২৬ জন।
তাদের মধ্যে অধিকাংশ ১–২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন। ৫ জনকে মামলা অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া ১৮ আগস্ট আংশিক তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে বলেছে, এটি ছিল সাময়িক মানবিক সহায়তা।
বিভ্রান্তিকর প্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও দেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
পূর্ণাঙ্গ তালিকা-