আগের ‘বিভাজনমূলক’ বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২২, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

আগের ‘বিভাজনমূলক’ বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

আগের ‘বিভাজনমূলক’ বক্তব্য ও শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

‘ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে দেশ বড়’ নামের এই পোস্টে মাহফুজ লিখেছেন, ‘দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য। আগেকার যে কোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল- সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সরকারে আর একদিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সকল শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই।’

তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, ‘পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’  

মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। দেশপ্রেমিক জনগণ যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, তাদের সামনে দীর্ঘ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা ঐক্যের এবং ধৈর্যের। এ পরীক্ষা উতরে যেতেই হবে।’ 

অবশ্য আগের কোন বক্তব্যের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন তা স্পষ্ট করেন নি তথ্য উপদেষ্টা। তবে গত ১০ মে রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন। ‘দুটি কথা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান।

সেই পোস্টে মাহফুজ আলম লেখেন, ‘৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। পাকিস্তান সরকার অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, সহযোগীরা আজও ক্ষমা চায়নি।’  

তিনি গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘কোনো প্রকারে ঘুরিয়ে-প্যাঁচিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে বয়ান তৈরির অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, জুলাইয়ের শক্তির ভেতরে ঢুকে বিভ্রান্তি ও অন্তর্ঘাত চালানো হচ্ছে, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’ 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পোস্ট দেওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কিছুটা দুরত্ব তৈরি হয়। দলটির কর্মী-সমর্থকরা অনলাইন প্রকাশ্যেই মাহফুজের সমালোচনা করেন। এনসিপির সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তাদের কোনো অংশগ্রহণ তেমন একটা চোখে পড়েনি।

Link copied!