মমতারাণী রাজবংশীর ঈদ আনন্দ যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩১, ২০২৫, ১১:২৩ এএম

মমতারাণী রাজবংশীর ঈদ আনন্দ যাত্রা

ঈদ আনন্দ যাত্রায় পরিবার পরিজন নিয়ে এসছেন মমতারাণী রাজবংশী। ছবি : দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ।

কোন দিনও দেখি নাই এমন আনন্দ যাত্রা। তাই নিজ চোখে দেখতে পরিবার নিয়ে হাজির হইছি। ঠিক এমনটাই বলছিলেন ঈদ আনন্দ যাত্রায় অংশ নেয়া মমতা রাণী রাজবংশী। রাজধানীর গাবতলী থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ যাত্রায় অংশ নেন তিনি।
আনন্দ যাত্রায় অংশ নেয়া উত্তম বাবু রাজবংশী বলেন, আমাদের দেশে কোন সাম্প্রদায়িকতা নেই। হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। এই ধরনের আনন্দ যাত্রার মাধ্যমে আমাদের আরও কাছে নিয়ে আসবে।

ঈদ উদযাপনকে আরও বর্ণিল করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজন করেছে ঈদ আনন্দ মিছিল। ঢাকার ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আয়োজিত এই মিছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রঙিন হয়ে ওঠে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে সকাল ৯টায় সেখান থেকেই শুরু হয় এই বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল। 
মিছিলে সুসজ্জিত পাঁচটি শাহী ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি ও বাদ্যযন্ত্র ছিল। সুলতানি-মোগল আমলের ইতিহাসচিত্র সম্বলিত পাপেট শো অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিন্ন মাত্রার আনন্দ যোগ করে।

এছাড়া ঘোড়ার গাড়িতে করে আনন্দ যাত্রা উপভোগ করেন অনেকে। অনেকেই আবার নিজ উদ্যোগে খুরমা,বাতাসা ইত্যাদি শুকনা খাবার আনন্দ যাত্রায় অংশ নেয়া জনসাধারণের মাঝে বিলি করেন। 
এই আনন্দ যাত্রায় গাধার পিঠে নাসিরউদ্দিন হোজ্জা, আয়েশা সিদ্দিক (র:) এর ঘোড়ার পুতুলসহ বেশ কয়েকটি ফোক মোটিফও ছিল। সেই সাথে গরুর গাড়ি, ব্যানার,প্লাকার্ড নিয়ে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে জনগণ।

মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সেমাই ও মিষ্টির আয়োজন করা হয়। পরে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করা। ঈদ আনন্দ মিছিল তারই একটি ধাপ। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ আয়োজন করা হবে।”

উৎসব কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

Link copied!