মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

বার্ন ইন্সটিটিউটে আট জনের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম

বার্ন ইন্সটিটিউটে আট জনের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’

ছবি: সংগৃহীত

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে আটজনের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ বলছে চিকিৎসকেরা।

বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ৪৪ জন। দগ্ধ শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের চিকিৎসা চলছে বার্ন ইন্সটিটিউটে।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৯ জন এবং ৬৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

বুধবার, ২৩ জুলাই বিকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, সকালে সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসক এবং তাদের চিকিৎসক টিম রোগীদের পর্যবেক্ষণ করেছেন।

“আমরা তিনটি ক্যাটাগরি করেছি। যার মধ্যে আটজনকে ‘ক্রিটিক্যাল’ মনে করা হচ্ছে। তারা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছে।”

“এছাড়া ১৩ জনের অবস্থা ‘সিভিয়ার’ এবং ২৩ জনের অবস্থা ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ে আছে। এই তিনটি ক্যাটাগরিতে রোগীদের প্রতি ঘণ্টায় আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

“সিভিআর ক্যাটাগরির রোগীরা মাঝারি অবস্থায় এবং ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের রোগীরা অন্য রোগীরদের তুলনায় কিছুটা ভালো আছেন।”

নাসির উদ্দীন বলেন, রোগীদের অবস্থা নানান কারণে পরিবর্তন হয়।

সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যাকে আমরা ক্রিটিক্যাল বলছি, হয়তো তার উন্নতি হচ্ছে। আবার সিভিআর পর্যায় থেকেও ক্রিটিক্যাল হয়ে যেতে পারে।”

এজন্য ১২ ঘন্টা পর পর ক্যাটাগরিও পর্যালোচনা করছেন চিকিৎসকরা। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় রোগীদের অবস্থা মূল্যায়ন করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।

সিঙ্গাপুর থেকে একজন চিকিৎসক এসেছেন জানিয়ে নাসির উদ্দীন বলেন, “এই হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা মিলে সমন্বিতভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে।”

অবস্থার উন্নতি হলে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে থাকা রোগীকে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একইভাবে সিভিয়ার হিসেবে বিবেচিত রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে নেওয়া হবে।

নাসির উদ্দীন বলেন, “সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এই ক্যাটাগরি করা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় অবস্থা পরিবর্তন হতে পারে রোগীদের। তাদের চিকিৎসাসেবা, ড্রেসিং এবং ওষুধ প্রতি ঘণ্টায় পরিবর্তন হচ্ছে।”

নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বার্ন ইন্সটিটিউটের বাইরে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি আছে ২১ জন এবং মারা গেছে ১৫ জন।

এছাড়া ঢাকা মেডিকেলে ১ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ১ এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জন মারা গেছে।

বর্তমানে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন চিকিৎসাধীন আছে।

প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেইজে বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়েছে।  

Link copied!