ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না, ইসির নীতিমালা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না, ইসির নীতিমালা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নীতিমালা অনুযায়ী, ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না ও গোপনকক্ষের ভেতরের ছবি তোলা যাবে না।

বুধবার, ২৩ জুলাই ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সই করা নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়।

নীতিমালায় নির্বাচনি এলাকা ও ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের পালনীয় নির্দেশাবলীতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন, তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি ধারণ করতে পারবেন না।

ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তা করতে হবে। কোনোক্রমেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না।

একসঙ্গে দুইটির বেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক কোনো ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান করা যাবে না। ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা গণনা কক্ষে ভোট গণনা দেখতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না। ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচার বা বিদ্বেষমূলক প্রচার থেকে বিরত থাকবেন। এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নির্বাচনি আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলবেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কোনো প্রকার নির্বাচনি উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, রাজধানী কেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব সাংবাদিকদের পাস, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে দেওয়া হবে।

স্থানীয় সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা এবং জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন, অনলাইন, আইপিটিভির স্থানীয় প্রতিনিধি স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। স্থানীয় পর্যায়ের এসব সাংবাদিকদের কার্ড, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা তার কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তারা দেবেন।

ইসির নির্দেশনাগুলো কোনো সাংবাদিক পালন না করলে কার্ড ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ পাস বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানানো হয়।

এ নীতিমালা নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

Link copied!