ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আসলে কতজন মারা গেছে সেটি নিয়ে রয়েছে নানান বিভ্রান্তি।
মঙ্গলবার দুপুরের পর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৯।
নূরজাহান বেগম বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) আমার চোখ অপারেশনের জন্য বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালে গিয়েছিলাম। পরে এ ধরনের ঘটনার খবর শুনতে পাই। সিএমএইচ হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ১১ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। আরও ১৭ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। সেখানে বিমানের পাইলটসহ দুজন মৃত্যুবরণ করেন।’
ওই একই দিন (২২ জুলাই) দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিমান দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি আছেন ১৬৫ জন।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানান। বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান সায়েদুর রহমান।
অর্থাৎ একই দিনের হিসাবে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী বলছেন চিকিৎসাধীন ৭৮ জন আহত, সেখানে দুপুরেই আইএসপিআর জানিয়েছে আহত ১৬৫ জন, আর নিহত ৩১।
সরকারের তরফ থেকে নিহতদের সংখ্যার ব্যাপারে আগের দিনের তথ্যই তুলে ধরা হয় আজ। বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৯। তবে, কমেছে আহতদের সংখ্যা। মঙ্গলবার ৭৮ জন বলা হলেও বুধবার বলা হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬৮ জন।
এদিকে বুধবার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। সেই হিসেবে আগের দিনের ৩১ জনের সাথে সবশেষ নিহতের ঘটনা যোগ করে ৩২ লিখেছে কোন কোন গণমাধ্যম।