আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে প্রায় দেড় শতাধিক বছরেরও বেশি সময় আগে ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে ইনডিপেনডেন্ট টিভির অনলাইনে এই খবর প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। বলা হচ্ছে, বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার ৭৪ বছর পর আবিষ্কৃত হয়েছিল। আর এবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশেই পাওয়া গেল টাইটানিকের চেয়েও পুরনো জাহাজ।
প্রকৃত অর্থে জাহাজে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ও ১৮৬২ সালের ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যাওয়ার কারণেই ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে ব্রিটিশ আমলের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জাহাজে দুজনের হাড়গোড়ও পাওয়া গেছে।
এদিকে বন্দর চ্যানেলে দেড় শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডুবে থাকা জাহাজটি উদ্ধারের ফলে জাহাজ চলাচল আরও নির্বিঘ্ন হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রচেষ্টার পর ব্রিটিশ আমলের জাহাজটি উদ্ধারে সাফল্য পায় জাহাজ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান হীরামনি স্যালভেজ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জিহাদ হোসেন জানান, দিন-রাত পরিশ্রম করে অন্তত ৩০০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট জাহাজটির এখন পর্যন্ত অর্ধাংশ উদ্ধার হয়েছে। আর এতে ১৮৬২ সালের মুদ্রাও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তামা, পিতল ও রুপার আসবাব, প্লেট, পাতিল, গ্লাস, পানি রাখার পাত্র ও চামচ, মোমবাতির দানি, ফুলের টব, আলমারির নকশা, হ্যারিকেন, কুপি, হাতির দাঁত, দূরবীন, মদসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। দুজনের হাড়গোড়ও পাওয়া গেছে। এসব থেকেই ধারণা করা হচ্ছে জাহাজটি ১৫০-২০০ বছর আগে ডুবে থাকতে পারে।
হিরামনি স্যালভেজের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম জানান, উদ্ধার হওয়া জাহাজের ভেতরে কয়লাও পাওয়া গেছে। এখন থেকে ১৫০ বছর আগে জাহাজে কয়লা ব্যবহৃত হতো। উদ্ধার হওয়া জাহাজটির ইঞ্জিনও ব্রিটিশ আমলে নির্মিত।
হীরামনি স্যালভেজের পরিচালক এয়ার মোহাম্মদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাহাজটি ৩০ ফুট মাটির নিচে চলে গেছিল। উপরে জমেছিল বালির আস্তরণ। আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী সংস্থা জাহাজটি তুলতে ব্যর্থ হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চ্যানেল থেকে জাহাজ উদ্ধারের ফলে এখন জাহাজ চলাচল নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি ড্রেজিং খরচ কমবে। ধারণা করা হচ্ছে, উপমহাদেশে বাণিজ্য করতে এসে জাহাজটি কর্ণফুলীর এই স্থানে ডুবে গেছিল।