জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংস্কারের পরও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)।
গত ২১ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কমিশন জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় সহনশীলতা বৃদ্ধিতে কিছু অগ্রগতি অর্জন করলেও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনের কেন্দ্রে রয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি চলমান বৈষম্য ও নিপীড়নের বিষয়টি। হিন্দু, আদিবাসী, আহমদিয়া ও সুফি মুসলমানরা এখনো প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য, সামাজিক বঞ্চনা এবং লক্ষ্যবস্তু নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মে মাসে বাংলাদেশ সফরকালে কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল জানান, যদিও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন, অনেক নাগরিক এখনো নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের ধর্ম অবমাননা সম্পর্কিত আইন ও ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শাস্তির বিধান থাকায় একটি ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে—যা বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠ রোধ করে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রক্ষণশীল ধর্মীয় প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় যথাযথ জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
কমিশন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে দেশের সব নাগরিক—ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে—নির্ভয়ে এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে, সে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।