শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) নৌবাহিনী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনও ইয়াস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুত গ্রহণ করেছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এর প্রভাব পড়া শুরু করেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূল সংলগ্ন বিভিন্ন জেলার নানা স্থানে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাটে পানি উঠছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লক্ষাধিক মানুষ।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় মোংলা, বাগেররহাট, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরাসহ দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি আর প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া। সেইসঙ্গে সাগর উত্তাল থাকায় বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্র তীরে। জোয়ারের পানি ঢুকছে নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলে। এরই মধ্যে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। সেই সঙ্গে এর প্রভাবে ভরা পূর্ণিমার কারণে দেশের উপকূলে উঁচু জোয়ারের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালীসহ আশপাশের এলাকা। পূর্ণিমার কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।