রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানার মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে ছয় বছরেও বিচার শুরু করতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল।
২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ওই বাড়িতে অভিযানে নিহত হয় ৯ জঙ্গি। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দাখিল করেন চার্জশিট। কিন্তু গত ৩ বছরেও মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল।
কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে খ্যাত একটি বাড়িতে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই ভোররাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় গোলাগুলিতে ৯ সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হয় রাকিবুল হাসান রিগ্যান নামে এক যুবক। একজন পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পরদিন রাতে মিরপুর থানার পরিদর্শক শাহজাহান আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় এ মামলা করেন। এরপর কালক্ষেপন হয় অনেক।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের বিচারাধীন। মামলাটি অধিকতর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন আসামি আবদুস সবুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় বিচারক আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, “বারবার বেশ কয়েকজন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আসামির সামনে অভিযোগ গঠনের শুনানি নিতে হয়।”
তিনি জানান, মামলাটির তদন্তে প্রায় আড়াই বছর সময় লেগেছে। ২০১৯ সালের মে মাসে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলায় কোনো আসামি পলাতক থাকলে কিছু প্রক্রিয়া থাকে।
করোনাভাইরাস মহামারী, আসামি হাজির না করা এবং জঙ্গি হামলার আলোচিত অন্যান্য মামলার চাপসহ আসামিপক্ষের সময় আবেদনের কারণে মামলাটি থমকে আছে।