গ্রিসে বিধ্বস্ত বিমানে অস্ত্র ছিল না, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ মর্টার শেল ছিল: আইএসপিআর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৭, ২০২২, ১১:৩০ পিএম

গ্রিসে বিধ্বস্ত বিমানে অস্ত্র ছিল না, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ মর্টার শেল ছিল: আইএসপিআর

গ্রিসে কাভালা শহরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনের কার্গো বিমানটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) প্রশিক্ষণ মর্টার শেল ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।  

আইএসপিআর জানায়, ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, সার্বিয়া হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্থ হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য উক্ত চালানে কোন অস্ত্র ছিল না এবং উক্ত চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের একটি কোম্পানি পরিচালিত অ্যান্তনভ এন-১২ কার্গো বিমানটি বাংলাদেশে আসার সময় স্থানীয় সময় শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়।

 

গ্রিসের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাইলট বিমানের একটি ইঞ্জিনে সমস্যা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ পাইলটকে থেসালোনিকি বা কাভালা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বলেছিল। কাছাকাছি থাকায় জরুরি অবতরণের জন্য পাইলট কাভালাকেই বেছে নেন। তবে অবতরণের আগেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কার্গো বিমানটি যখন নিচে নামছিল, ততক্ষণে এটিতে আগুন ধরে যায়। এটি মাটিতে আঘাত করার পরে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে।

গ্রিস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটিতে ৮ জন আরোহী ছিলেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আট আরোহীর সবাই তার দেশের নাগরিক ছিলেন।

এদিকে, সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের উৎপাদিত সাড়ে ১১টন সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে কার্গো বিমানটি নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিলো। এগুলোর ক্রেতা ছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আরোহীর সবাই আর বেঁচে নেই বলেও তিনি জানান।

Link copied!