জুলাই ১৪, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের ৬৪টি জেলায় জুলাই আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী।
সোমবার, ১৪ জুলাই গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জ থেকে এ নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে এবং আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে সবগুলো নির্মাণ স্মৃতিস্তম্ভ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। খবর ইউএনবি।
ফারুকী বলেন, ‘এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো হবে লেখানির্ভর, কারণ জুলাই আন্দোলন মূলত স্লোগান, কবিতা, বিবৃতি ও লেখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে শহিদদের আত্মত্যাগকে পৌঁছে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, আজই অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা—আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. সি.আর. আবরার ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া স্মৃতিস্তম্ভগুলো পরিদর্শন করবেন।
রাজধানীর বাইরের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ফারুকী বলেন, ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ আবু সাঈদ ও অন্যান্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাবেন উপদেষ্টারা।
চট্টগ্রামে ওই দিন কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়ামে ঢাকা-চট্টগ্রামের শিল্পীদের অংশগ্রহণে একাধিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে, যার পর্দা নামবে ড্রোন আর্ট প্রদর্শনীর মাধ্যমে। ওই দিন সকালেই সংবাদ সম্মেলনে কনসার্টের চূড়ান্ত লাইনআপ প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের’ উদ্বোধন করা হবে, যদিও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য তা পরবর্তীতে উন্মুক্ত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও নারী ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, জুলাই বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী নারী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ‘জুলাই কন্যা’ শিরোনামে একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জুলাই মাসজুড়ে বিদ্রোহের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, তথ্য-প্রামাণ্য সংরক্ষণ ও কল্যাণমূলক কর্মসূচিসহ একাধিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ফারুকী আরও জানান, আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় ড্রোন প্রদর্শনীতে আওয়ামী শাসনের ১৬ বছরের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে।
অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রীদের নেতৃত্বে একটি প্রতীকী ‘থালা-বাটি মিছিল’ অনুষ্ঠিত হবে, যা ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণআন্দোলনকে স্মরণ করতে আয়োজন করা হচ্ছে। পুরো অনুষ্ঠানটি শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে স্থাপিত একটি ডিজিটাল স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।