প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্যান্য কমিশনাররা শপথ গ্রহণ করেছেন। প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেন তারা। নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
নির্বাচন কমিশনের বিস্তারিত পরিচয়
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বিভিন্ন মেয়াদে আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। এছাড়া তিনি ধর্ম সচিব এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবে নিয়োগ পান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৯৮১ সালে তিনি বিচার কর্মবিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগদান করে জেলা ও দায়রা জজসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। আইন কমিশনের সচিব ও শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ও সিনিয়র সচিব পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ হতে ০৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ০৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সচিব পদে যোগদান করেন। গত ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ হতে তিনি এ বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ১৯৮৫ ব্যাচের বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ তারিখে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরি জীবনে তিনি সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর ১০ জুন ২০১৯ তারিখে সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সিনিয়র সচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে থেকে ২ ফেব্রুয়ারি অবসর যান। ইতোপূর্বে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জনাব মোঃ আলমগীর ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকুরী জীবন শুরু করেন।
অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা সর্বশেষ গাইবান্দা কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি শিশুহত্যার রায়সহ নানা আলোচিত ঘটনার রায় দেন।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সেনাবাহিনী অবসরের পর বিটিআরসির মহা পরিচালক (স্পেক্ট্রাম) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সেসময় তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম শুরুতে নানা উদ্যোগ নেন।