জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পার হওয়ার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সকাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে কী কারণে জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিপর্যয় হলো তার কারণ এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি মন্ত্রণালয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বলছে, ফল্ট রেকোর্ডার বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে কারণ। বিষয়টি তদন্তে দুইটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে একযোগে জাতীয় গ্রিডের পূর্বাংশে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) সমস্যা দেখা দেয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়। এর ফলে এসব এলাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায় । আর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে এসব এলাকার হাসপাতাল, বাসা-বাড়ি, দোকানপাটসহ সব স্থাপনা। বাদ যায়নি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। বিপাকে পড়েন লাখ-লাখ মানুষ। হাসপাতালে ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা।
তবে জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিপর্যয়য়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পার হওয়ার পর রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। রাজধানীর তুলনায় জেলা শহরে বিদ্যুৎ ফিরে আসে দ্রুত সময়ে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চলে বিদ্যুৎ রিস্টোর হচ্ছে। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায়ও সরবরাহ চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, ঢাকায় লোড বেশি হওয়ার কারণে সব লাইন সচল করতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক মাসুম আলম বকসী গণমাধ্যমকে জানান, রাতের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিস্থিতি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।