হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া ঝাঁজ কমাতে শুল্ক কমিয়ে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ করে দিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ শুল্কে ব্যবসায়ীরা পেয়াজ আমদানি করতে পারবেন। এ ছাড়া অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে এনবিআর।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের স্বাক্ষর করা এ-সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ব্যবসায়ীরা পেয়াজ আমদানি করতে পারবেন। অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে।বর্তমানে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি পর্যায়ে কম হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক দিতে হবে।
এর আগে, সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় পেঁয়াজ ও চিনিসহ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম তেল আমদানিতে শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানোর তিনদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির শুল্ক কমানো হলো। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়েছে।
এদিকে,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন দুটি টিম রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বাজার মনিটরিং করছে। সারাদেশে জেলা-উপজেলায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।