তেলের দাম বৃদ্ধির পরও আরও কয়েকদফা দাবি জানায় ব্যবসায়ীরা৷ সবাই ব্যবসায়ীদের দোষালেও করল কেউ পরামর্শ করেনি বলে অভিযোগ তোলেন তারা৷ বুধবার এফবিসিসিআই ভবনে ভোজ্য তেল আমদানি, মজুদ, সরবারহ ও মূল্য নির্ধারণ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা জানায় তারা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কেউ দাম বাড়াতে সক্ষম নয়। ভোজ্যতেল যেন মাদকদ্রব্যর মত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের অপমানিত না হতে হয়। বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মাওলা এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমদানিকারকদের কাছ থেকে তেল এনে আমাদের সরবরাহ করতে হয়। আমরা যদি তেল আনতে না পারি তাহলে কীভাবে বাজারে দেব?
তেল মজুতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে তেল নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে এজন্য আমাদের মজুদের প্রয়োজন রয়েছে। তেল মজুদ করতে না পারলে তেলের দাম আরও বাড়বে। কিন্তু আমরা মজুদও করতে পারছি না। আমাদের গুদামে ১০ ড্রাম তেল পেলেও জরিমানা করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে!
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কিছু ব্যবসায়ীর কারনে আমাদের সকলের অসুবিধা হচ্ছে। প্রত্যেক বাজারে ব্যবসায়ী নেতারা থাকেন। তারা যদি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাহলে সকলেই উপকৃত হবে।
টিকে গ্রুও, সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরাসহ ভোজ্যতেল আমদানিকৃত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, সরকার থেকে আমাদের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। যার ফলে চাইলেও আমরা তেল মজুত করে রাখতে পারিনা। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে বিধায় আমাদেরও দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে৷ আমরা চাই সরকার যেন বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়।
এছাড়া টিসিবি যেন ভোজ্যতেল আমদানি করার চেষ্টা চালায় উল্লেখ করে তারা বলেন, তেল আমদানি কোন জটিল কিছু নয়। টিসিবি যদি তাদের পণ্যগুলো নিজ উদ্যোগে আমদানি করে তাহলে সকল পক্ষের সুবিধা হয়।