জুলাই ৫, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
ডিজিটাল রূপান্তর ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশে চালু হয়েছে নতুন একটি অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানির শুল্ক ও কর সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া যাবে।
এই ব্যবস্থায় বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়, এমক্যাশ ও ট্রাস্টপেসহ যেকোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শুল্ক-কর অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে।
‘ই চালান’ নামের এই স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, নতুন এই ব্যবস্থায় আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা যেকোনো ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করে ঘরে বসেই শুল্ক-কর পরিশোধ করতে পারবেন।
অনলাইনে অর্থ পরিশোধের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি রসিদের নম্বর জেনারেট হবে, যা দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে।
এ পদ্ধতি আগের তুলনায় অনেক বেশি সময় সাশ্রয়ী। পূর্বের আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) পদ্ধতিতে অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হতে কয়েক দিন সময় লাগত, ফলে পণ্য খালাসে বিলম্ব হতো এবং সরকারের নগদ প্রবাহে প্রভাব পড়ত।
এখন থেকে অর্থ পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে তা কোষাগারে জমা হবে, যা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য হবে এবং পণ্য খালাসও দ্রুত হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আইসিডি কমলাপুর কাস্টমস হাউসে পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এ চালান কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর পানগাঁও কাস্টমস হাউস এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে এটি চালু হয়। আগামী সোমবার থেকে ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউসে এটি চালু হচ্ছে।
এনবিআর জানিয়েছে, রাজস্ব সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে আধুনিক ও স্বচ্ছ করতে এবং ম্যানুয়াল নির্ভরতা কমাতে এই ডিজিটাল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা সময় বাঁচাবে, স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং শুল্ক পরিশোধ প্রক্রিয়াকে একটি ইউটিলিটি বিল দেওয়ার মতো সহজ করে তুলবে।