জুলাই ৫, ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হকের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অশালীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পোশাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এবং হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইমোতে ভিডিও কলে অশোভন বার্তা পাঠানোর অভিযোগ এনেছেন।
এই অভিযোগগুলো দেশীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ জুলাই থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী জীবনধারণ ভাতা পাবেন।
একইসঙ্গে, ঘটনা তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ নাজিমুদ্দিনকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন—লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফকরুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার। কমিটিকে আগামী ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগপত্রে ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাতটি নির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, যেখানে পেশাগত অসদাচরণ, নৈতিকতা লঙ্ঘন, যৌন হয়রানি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।