জুন ২০, ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম
নিট বা `নো ইডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট এন্ড ট্রেনিং` (No Education, Employment and Training-NEET)-এমন তরুন জনসংখ্যা ২০৩১ সালের মধ্যে ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে `নিট` জনসংখ্যার জন্য এক প্রকল্পের আওতায় ৯ লাখ তরুনকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করা হবে। এ জন্য ২০২৩ থেকে ২০২৮ পাঁচ বছর মেয়াদী “Economic Acceleration and Resilience for NEET (EARN)” প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বিশ্বব্যাংকের ইনটারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স বা আইডিএ লোন পাবে ৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। আর সরকার নিজ তহবিল থেকে ব্যয় করবে ১০৮ কোটি টাকা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটি মঙ্গলবার (২০ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি`র সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত গ্রামীণ অঞ্চলের তরুন মহিলা ও পুরুষ জনসংখ্যাকে শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অধিকতর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হবে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে NEET তরুণদের সংখ্যার হ্রাস করে ২০৩০ সালের মধ্যে অগ্রাধিকার খাতগুলোতে পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমশক্তি সরবরাহ করা যাতে অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা যায়।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, নিট তরুন জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং এই সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা, উপার্জন নিশ্চিতকরণ এবং স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও কর্মে যোগদানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারি এবং চলমান আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রহস্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধারে প্রশিক্ষিত যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। যুব সমাজের মধ্যে `নিট` জনগোষ্ঠীর ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।