১ সপ্তাহের ব্যবধানে স্থিতিশীল আছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে স্থির হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে তা উপনীত হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে রিজার্ভ সামান্য হেরফের হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। এরই মধ্যে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া একই সময় বাইরের বড় দায় বা কোনো বিদেশি ঋণও পরিশোধ করা হয়নি। ফলে বিদেশি অর্থের মজুতও ক্ষয় হয়নি।
দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই পদ্ধতিতে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এটি দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
প্রকৃত অর্থে প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।