যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের আড়তের সামনেই দেখা যাচ্ছে মোটা পলিথিনে মোড়া পেঁপে থরে থরে সাজানো। পাইকারীতে ২০ টাকা কেজি দরে পেঁপে থাকায় বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতারা পেঁপে কিনছে বেশি। সেই সাথে তুলনামূলক লাউয়ের দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়েছে লাউয়েরও। তবে বৃষ্টি ও পরিবহন খরচের অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। শীতকালীন আগাম সবজি উঠলেই দামের উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের নজর কম সেদিনে।
সবজির দাম বাড়তি
আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি,বাধাকপি,শিম, মূলা ইতোমধ্যে বাজারে উঠেছে। কিন্তু বাজার পাওয়া গেলেও দামের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সাধ্যের বাহিরে তা স্বয়ং বিক্রেতারাও বলছে। একটি ছোট ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা আজমত আলী বলেন, বৃষ্টির কারনে সবজির দাম বেশি। এই ছোট ছোট ফুলকপিই এখন ৫০ টাকা। অনেকেই দাম জিজ্ঞাস করে চলে যায়। আগামী এক দুই সপ্তাহ পর হয়ত দাম কমতে পারে।
এদিকে বাধাকপিও আকারভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি,শিম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা,বেগুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি মূলা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মূলার দাম বেশি হওয়া সম্পর্কে আজমত আলী বলেন, আমি জীবনে এত দামে মূলা বেচি নাই। এহন সব কিছুর দাম বাড়তি দেখে মূলার দামটা কম কম লাগে।
এদিকে ঝিঙ্গা,চিচিঙ্গা,করলা,ঢেড়স,করল্লাসহ অধিকাংশ সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে, জমিতে কাঁদা পানি জমে যাওয়ায় সবজি সংগ্রহ করতেও কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টিতে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে সময় লাগছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, সাধারণত যেসব সবজি ২০ মণ আনি, সেগুলো এখন এনেছি সাত মণ। টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁদা-পানি, সেজন্য সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।`
শাকের দাম বেড়েছে বেশি
তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শাকের দাম। হেলেঞ্চা শাক যেগুলো গত এক বছর ধরে ১০ টাকা আটিতে বিক্রি হতো সেগুলো ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কলমি শাক ২০ টাকা আটিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা দাম থাকলেও বর্তমানে পুঁইশাক ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের শাকের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় বিক্রেতারা।
ডিমের দাম কমেছে, মুরগির লাগামহীন
দামের লাগাম টেনে ধরতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও নির্ধারিত দর ১৪২ টাকা ডজনে বাজারে ডিম বিক্রি হয়নি। তবে আগের তুলনায় দাম কমেছে ডিমের। খুচরা বিক্রেতারা মানভেদে ১৫০ থেকৈ ১৬০ টাকা ডজনে ডিম বিক্রি করছে। তবে দাম নির্ধারণ করা থাকলেও মুরগীর মাংসের দাম কমেনি।
ভোক্তাদের ১৮০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও ২৭০ টাকার সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি কিনতে দেখা গেছে।