জুন ৮, ২০২২, ০৯:১৮ পিএম
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে ইকোনমিক জোনে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার রাজধানীতে বাণিজ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমে ব্রুয়ারের সঙ্গে বৈঠকে টিপু মুনশি এ আহবান জানান।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এখানে বিনিয়োগ করলে অষ্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার এ মহুর্তে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। অষ্ট্রেলিয়া এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।”
অষ্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, “উভয় দেশের বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে। অষ্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, কৃষি ও ভিভিন্ন খাদ্য পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমান বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে। এ সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ সময়ে বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে অষ্ট্রেলিয়ায় ৮৩৪.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৭৫০.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। অষ্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব।”
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমে ব্রুয়ার বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সাথে অষ্ট্রেলিয়া বানিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশে এনার্জি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।”
তৈরী পোশাক সেক্টরে বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জেরেমে ব্রুয়ার বলেন, “বাংলাদেশের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ উভয় দেশ সফর করে বিনিয়োগের সেক্টর নির্বাচন করতে পারে।”
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী অষ্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা গ্রহণ করছে এবং তাদের বিষয়ে অষ্ট্রেলিয়া সরকার দায়িত্বশীল বলেও জানান হাইকমিশনার জেরেমে ব্রুয়ার।