আগস্ট ৭, ২০২২, ০৬:৫১ পিএম
চীনের বাজারে বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ পণ্যই শুল্ক ছাড়াই রপ্তানি করতে পারবে। আসছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সুবিধা কার্যকর হচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে্।” এর মধ্যে পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১ জুলাই চীন সর্বপ্রথম স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তার দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদান করে। ওই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশসহ ৩৩টি স্বল্পোন্নত দেশ চীনের ৬০ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
পরে ২০২০ সালের ১৬ জুন শর্তহীনভাবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ রপ্তানি পণ্য (৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য) দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় চীন, যা ওই বছরের ১ জুলাই কার্যকর হয়। এরপর ২০২২ সালের শুরুতে বাংলাদেশের আরও ১ শতাংশ পণ্যকে (৩৮৩টি) শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় দেশটি। সর্বশেষ নতুন করে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধাকে আরও ১ শতাংশ বাড়িয়ে দেশটির বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধার ঘোষণা দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, গত দুই অর্থবছর চীনে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন ডলারও ছুঁতে পারেনি। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশ ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য চীনে রপ্তানি করে।