আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনার বিষয়েও তিনি অবহিত নন বলেও জানান।
রোববার, ১৭ আগস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিদেশে মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে রিজওয়ানা বলেন, ‘এটার সাথে নির্বাচনের যে কোনো সম্পর্ক নেই— এটা একেবারে স্পষ্ট। (এই পর্যায়ে হাসতে হাসতে) একটা ছবির সঙ্গে তো নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আদৌ আছে কিনা সেবিষয়ে তিনি অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এমন কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিজওয়ানা বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে সরকার জানিয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে নিতে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন চারটি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত।
গতকাল শনিবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বিভিন্ন অঞ্চলে তুলনামূলক সিনিয়র মিশন প্রধানের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। অন্য অঞ্চলে একজন রাষ্ট্রদূত একই নির্দেশনা পেয়েছেন।’
অন্য তিনটি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতেরা জানান, তারা গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একইরকম নির্দেশনা পেয়েছেন। তিনটি দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্দেশনা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো হয়েছে।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক শাহ আসিফ রহমান বলেন, ‘মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলার কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে লিখিত কোনো নির্দেশনা পাইনি।’ খবর আজকের পত্রিকা।
কিছুদিন আগে একটি মিশনে যোগ দেওয়া মিশন প্রধান জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পরপরই অনেক মিশন থেকে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। সাবধানতা হিসেবে কোনো কোনো মিশন রাষ্ট্রপতির ছবিও নামিয়ে ফেলে।
এই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যেসব দেশে অনেক বাংলাদেশি থাকেন, সেখান ‘মব’ হামলার শিকার হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ছবিগুলো নামানো হয়।