ফুড প্রসেসিং ও ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিইএফ, জিসিএফ ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগির তহবিল হতে বাংলাদেশে আরও অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রতি আহবান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) বাংলাদেশে নতুন নিয়োগ পাওয়া আবাসিক পরিচালক ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্সের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ভার্চূয়্যাল সভায় অর্থমন্ত্রী এই আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশক ধরে দেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী ওই সভায় বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও ভালো অবস্থানে আছে। প্রধানমন্ত্রী এই সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পেরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের যুগোপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপ ঘোষনা করেছেন।” বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।
ভার্চূয়্যাল সভায় অর্থমন্ত্রী বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। গ্রামীন অর্থনীতি তথা কৃষি, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমূহে ইফাদের অনুদান সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশপাশি সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, ফুড প্রসেসিং, ভবিষ্যতে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য জিইএফ, জিসিএফ এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী তহবিল হতে বাংলাদেশের অর্থায়নের জন্য ইফাদকে অনুরোধ জানান।
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) বাংলাদেশে নতুন নিয়োগ পাওয়া আবাসিক পরিচালক ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স। ছবি: সংগৃহীত
সভায় ইফাদের নতুন আবাসিক পরিচালক ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স আট সদস্যের প্রতিনিধি দলকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, জেন্ডার, পুষ্টি, আদিবাসী জনগণের জীবন মানের উন্নয়ন ইত্যাদি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রামীন এলাকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ইফাদের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই ভার্চুয়াল সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।