চোখের জলে হিমেলকে চির বিদায়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০১:৩৫ পিএম

চোখের জলে হিমেলকে চির বিদায়

সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী হিমেল ছুটি নিলেন পৃথিবী থেকে। ক্লাস-পরীক্ষার ছোটাছুটি, ভালোলাগার কারুকাজ, সহপাঠীদের সঙ্গে আড্ডা- সবকিছু চুকিয়ে দিয়ে চলে গেলেন অসীমে। যেখান থেকে ফিরে আসার কোন পথ থাকে না। তাইতো, বুকভাঙা কান্নায় প্রিয় বন্ধুকে চির বিদায় দিলেন সহপাঠীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে নানাবাড়ি নাটোরে পৌঁছেছে হিমেলের মরদেহ। সঙ্গে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ৮টি বাসে করে শিক্ষার্থীরা।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাহমুদের মরদেহ প্রথমে চারুকলা অনুষদে আনা হয়। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে নেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ছবি: সংগৃহীত

সকাল পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মাহমুদ হাবিব হিমেলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

হিমেল রাবির গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ২১২ নাম্বার রুমে থাকতেন বলে জানা গেছে। হলে দীর্ঘদিন একইসঙ্গে থাকা সহপাঠীসহ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, হিমেল পাঠ্যক্রমের বাইরের কাজেও বেশ আগ্রহী ছিলেন।

মাহমুদ হাবিব ওরফে হিমেলের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে ৭ দফা দাবি দিয়ে সকাল পর্যন্ত আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে ছিল নিহত মাহমুদের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এ বিষয়ে উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “আমি আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি দিতে পারছি না। এরপর আমরা ফাইন্যান্স কমিটিতে বসব। শিক্ষকদের সঙ্গে বসে কথা বলব। আমি তো নিজে নিজে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারব না।”

Link copied!