জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১২:২০ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবি তুলেছে হলের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে অন্যান্য হলে আয়োজন করা হলেও এই হলটির কর্তৃপক্ষ কোনো আয়োজন করেনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘এক দফা এক দাবি, প্রভোস্টের পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, প্রভোস্ট তুই গেলি কই’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভরত এক শিক্ষার্থী জানান, ‘অন্যান্য ছাত্রী হলে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে লাইটিং করা হয়েছে, দুদিন ধরে তাদের হলে লাইট জ্বলছে। কিন্তু আমাদের হলে এসব কিছু করা হয়নি। এ ছাড়া পূজা উপলক্ষে সাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্য আরও বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে অন্যান্য হলে। আমাদের হল প্রাধ্যক্ষের এ ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথাই নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমাদেরকে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ২৪ জানুয়ারি হলের একটি রুমে যখন আগুন লাগে তখনও হল প্রাধ্যক্ষ তার নিজের রুম থেকে বের হননি। উনার আগে ক্যাম্পাস থেকে প্রক্টর স্যার চলে আসেন। পরে রুম থেকে বের হলেও তিনি অভিভাবকসুলভ আচরণ করেননি।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, ‘এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জার্সিও দেওয়া হয়নি। আমাদের আন্তঃবিভাগ ফুটবল ম্যাচে অন্যান্য হলের মেয়েরা কত মানসম্মত জুতা পরে গেছে, আর আমাদের দেয়া হয়েছে পিচ্চি বাচ্চাদের সাদা জুতা। এরকম বহু অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলা আছে তাঁর। অনেকবার আমরা ভালোভাবে বলেছি, কিন্তু আমাদের কোনো কথার পাত্তাই দেন না তিনি। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই।’
ফেসবুকে পোস্ট দিলে সেগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রভোস্ট হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন সমস্যার কথা হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে তিনি এগুলোর তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে এসেছে। আমরা তাদের কথাগুলো শুনেছি। এ বিষয়ে উপাচার্য মহোদয় আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো শুনে হল প্রাধ্যক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করার আশ্বাস দেন। তবে তা না মেনে সরাসরি প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।