ডাকসু নির্বাচন

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে

ছবি: সংগৃহীত

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

আজ সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার পর আজকের দিনটি ক্যাম্পাস রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। 

ভোট দেওয়ার পর এক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘এই প্রথমবার আমি ভোট দিলাম, আর আমি খুবই আনন্দিত যে এমন একজন নেতাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি যিনি আমার কণ্ঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।’ 

সহপাঠীদেরও ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি নিজের পছন্দমতো স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছি। আগের দিনে শুনতাম, কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করত, এমনকি তাদের হয়ে ব্যালটে ছাপ মেরে দিত। কিন্তু এবার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই। 

ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির পূর্বাভাস দিয়ে নিজের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো জাতির দৃষ্টি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে।

আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।

অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।

আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে না হয়।  

প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও।

Link copied!