ছবি: সংগৃহীত
অপ্রতিরোধ্য চীন কখনও কাউকে ভয় পাবে না এবং সর্বদা এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনে বিজয় দিবসের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক কুচকাওয়াজের আগে এ কথা বলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পূর্তিতে এই আয়োজনে এবার প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, শি জিনপিং ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আজ বুধবার গাড়ি থেকে নেমে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে প্রবেশ করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এরপর প্রবেশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর একসাথে মঞ্চে উঠেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এভাবেই প্রথমবারের মতো জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রকাশ্যে হাজির হন পুতিন ও কিম। একে পশ্চিমাদের জন্য বড় বার্তা হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার অন্যতম বৃহত্তম সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে চীন। পুতিন-কিম ছাড়াও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোসহ ২৬ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
কুচকাওয়াজ শুরুর আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, অপ্রতিরোধ্য চীন কখনও কাউকে ভয় পাবে না এবং সর্বদা এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ১চীন একটি স্বাধীন এবং শক্তিশালী দেশ। আমরা সহিংসতাকে ভয় পাই না। অতীতে বিভিন্ন কঠিন সময়ে চীনের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আজ বিশ্ব আবারও যুদ্ধ ও সংঘাতে লিপ্ত। মানবসভ্যতা ও অগ্রগতির জন্য আমরা সব দেশের জনগণের সাথে একসঙ্গে কাজ করব।
প্রায় ৭০ মিনিটের কুচকাওয়াজে বিভিন্ন ধরণের নতুন সামরিক সরঞ্জাম উন্মোচন করেছে চীন। এর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জন্য রোড-বাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন লেজার অস্ত্র ও রোবোটিক ডগ ড্রোন।
এদিকে চীনের সামরিক কুচকাওয়াজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে জাপান।