ছবি: সংগৃহীত
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনের আবেদন করেছেন।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই আবেদন করা হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী কায়েস আহমেদ। খবর প্রথম আলো।
একই মামলায় গ্রেপ্তার আরও ছয়জন জামিন আবেদন করছেন। তারা হলেন গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, তৌছিফুল বারী খান, আমির হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও আবদুল্লাহীল কাইউম। তাদেরও আইনজীবী কায়েস আহমেদ।
আইনজীবী কায়েস আহমেদ। তিনি বলেন, শাহবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা লতিফ সিদ্দিকী জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেন। আজ বিকেলে এই জামিন আবেদনের ওপর আদালতে শুনানি হওয়ার কথা আছে।
গ্রেপ্তারের পর লতিফ সিদ্দিকীকে গত শুক্রবার ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তখন তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। আদালতের প্রতি তার আস্থা নেই বলে তখন তিনি উপস্থিত আইনজীবীদের বলেছিলেন।
এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবার লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নাসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন হাফিজুর রহমান। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশের একটি দল আসে। লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, মনজুরুল আলমসহ ১৬ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। গত শুক্রবার এই ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।