করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সরকার পরিস্থিতি উত্তোরণে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
চলতি মাসে দেশে আরও এক কোটি ডোজ করোনার টিকা আসছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় পৌণে দুই কোটি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং ৫০ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।’
ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে একটা রাজনীতি আছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা নিয়েও একটা অর্থনীতি চলছে। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র ভ্যাকসিন বানিয়েছে এবং স্টক করেছে। তাদের যা জনসংখ্যা, তার থেকে চার-পাঁচ-ছয় গুণ তারা স্টক করে রেখেছে। অথচ এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে এখনো ভ্যাকসিন পৌঁছায়ইনি। আমরা ভাগ্যবান যে শুরুতেই ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং পেয়েছি। আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিনেট করতে সক্ষম হয়েছি, ৫০ লাখের বেশি লোক দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আমরা বিভিন্নভাবে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি, নিজেরাও কিনছি।’
৮০ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন দিতে হলে ২৬ থেকে ২৭ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এত ভ্যাকসিন আমরা একসঙ্গে পাব না, রাখতেও পারব না। সে জন্য যখন যে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, সেটা আমরা আমরা আনার চেষ্টা করছি।’