বাড়তি চিন্তা থেকে মুক্তি ৩ জাপানি টেকনিক প্রয়োগে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

জুন ২৮, ২০২৪, ১০:৪০ এএম

বাড়তি চিন্তা থেকে মুক্তি ৩ জাপানি টেকনিক প্রয়োগে

জীবনের গতি জটিল হয়ে উঠছে। নানামাত্রিক চাপে মানুষের মন যেন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বাড়তি চিন্তা, বাড়তি টেনশনে আমাদের জীবন যেন বিষিয়ে ওঠে। বাড়তি চিন্তা থেকে সৃষ্টি হয় অবসেশন। বেশ কিছু জাপানি টেকনিক প্রয়োগে ওভারথিংকিং বা বাড়তি চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। আজ বাড়তি চিন্তা থেকে মুক্তির তিনটি জাপানি টেকনিক প্রয়োগের কথা আপনাদেরকে বলবো:

শোগোনাই

শোগোনাই
সহজ করে বলতে গেলে শোগোনাইয়ের অর্থ হয়, ‘কিছু করার নেই’। অর্থাৎ হতাশ হয়ে সব শেষ বলে দেওয়া নয় বরং যা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, আপনার সাধ্যের মধ্য নেই তা মেনে নেওয়ার ইতিবাচক মানসিকতা। যখন আমরা মেনে নিতে পারি, অতিরিক্ত চিন্তা অতীতের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করবে না বা ভবিষ্যতের ফলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করবে না, তখন মানসিক দৃঢ়তা শিথিল হয়ে যায়।

শিরিন-ইয়োকু

শিরিন-ইয়োকু
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক জগতের শান্ত পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যান। ‘শিরিন-ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’ হল আমাদের ডিজিটাল প্রাণহীন জটিলতা থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সতেজ শ্বাস গ্রহণ। গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজের মধ্যে সময় কাটালে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। ফলে মন শান্ত হয় এবং শান্ত চিন্তার পরিবেশ তৈরি করে। তাই বাড়ির আশপাশে গাছপালা লাগান এবং সেখানে দিনের কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করুন।

নেনবুতসু

নেনবুতসু
অনেকটা তসবি জপা কিংবা ‘ওম’ শব্দে ধ্যান করার মতো ব্যাপার নেনবুতসু। প্রকৃত অর্থে এরকম শব্দগুলো বার বার জপলে এক ধরনের মৃদু তরঙ্গ তৈরি হয়, তাই মন স্থির হয়, বাড়তি চিন্তার ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসা যায়। এই কারণে আপনার অতীতের চিন্তা মাথা থেকে দূর হবে। আর বর্তমান কাজে মনোযোগ আসবে। উচ্চৈঃস্বরে বা নীরব, যেভাবেই হোক নেনবুতসু অভ্যন্তরীণ শান্তি ও মানসিক স্থিরতার জন্য একটি উপকারি প্রক্রিয়া।

Link copied!