সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৯:৪৩ এএম
পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মরুভূমির দেশ হিসেবে পরিচিত লিবিয়ায় হয়ে যাওয়া বন্যা। নিখোঁজ আছেন আরও অন্তত ১০ হাজার মানুষ। এ কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা লিবিয়ান নিউজ এজেন্সি জানায়, বন্যায় অন্তত পাঁচ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসের লিবিয়া প্রতিনিধি দলের প্রধান তামের রামাদান সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতকাল লিবিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় তোবরুক শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ১৪৫ জন প্রতিবেশী মিশরের নাগরিক।
পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদুল জলিল লিবিয়ার আলমাসার টেলিভিশনকে বলেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেরনা শহরে অন্তত ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।
দেশটির অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, দেরনা শহরে অন্তত দুই হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের এক কর্মকর্তা হিশাম কিওয়াত বিবিসিকে বলেন, ‘দেখে স্তম্ভিত হয়েছি, একি, এতো সুনামির মতো দেখতে। একটি বিশাল লোকালয় ধ্বংস হয়ে গেছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক। প্রতি ঘণ্টায় এই সংখ্যা বাড়ছে।’
গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আফ্রিকার দেশটির পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। প্রচণ্ড বাতাস ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বেনগাজি, তবরুক, তৌকরা, আলমার্জ, তাকনেস, আলওয়াইলিয়া, বায়াদা, বালবায়াদা, শাহহাত, সুসা ও দেরনার মতো শহরগুলোতে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়।
ঝড়ে শহরগুলোর বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে বন্যায় অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দেরনা শহরের দুটি পুরনো বাঁধ ভেঙে শহরটি দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ‘পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছে।