বেটা
জুন ৪, ২০২৫, ১২:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে এক অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
অনেক গণমাধ্যম বলছে, শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম তা নাকচ করে দিয়েছেন।
বুধবার, ০৪ জুন বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
ফারুক ই আজম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান ও চার নেতাকে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে। তারা তো থাকবেনই। তাদের কেন বাদ দেয়া হবে? মুক্তিযুদ্ধটাতো পরিচালনা করেছেনই তারা।”
“যাদের লেখাপড়া নাই তারা এগুলো লিখছে। নায্যভাবেই মুক্তিযুদ্ধ ওনারাই পরিচালনা করেছেন। ইতিহাস কেউ কী কেউ কখনো মুছতে পারে?” প্রশ্ন করে তিনি আরও বলেন, “জাতীয় চার নেতাসহ শেখ মুজিবর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই থাকবে, আছে। তাদেরকে বাদ দেয়া হয়নি।”
এদিকে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুধবার এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিলের যে সংবাদ প্রচার হচ্ছে, তা ভুয়া।
পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ।’
নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার রাতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
