ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ঘটনায় কারণ দর্শানোর দলীয় নোটিশের জবাব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ। জবাবে তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, দলের রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হান্নান মাসউদের ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ২১ মে হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশটি দিয়েছিল এনসিপি। আগের দিন ২০ মে ধানমন্ডির একটি ঘটনার জেরে এই নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়েছিল, ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে থানা-পুলিশ। এই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনের কারণে আগেই অব্যাহতি প্রদান করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
তা সত্ত্বেও হান্নান মাসউদ সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনের মুচলেকা প্রদান করে থানা থেকে ছাড়িয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হান্নান মাসউদকে ব্যাখ্যা এবং তাঁর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ তিন দিনের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আজ এনসিপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত তিন কার্যদিবসের মধ্যে হান্নান মাসউদ কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত ও মৌখিক জবাব দলের রাজনৈতিক পর্ষদের কাছে পেশ করেন। নোটিশে উল্লেখিত কর্মকাণ্ডে ভুল ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, থানায় আটককৃত ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হান্নান মাসউদের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে প্রমাণসাপেক্ষে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে দলের রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হলো।