মে ৩, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
`সিন্ধু মহড়া`র অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরিচালিত হয়। (ছবি/ডন)
স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ‘আবদালি’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই অস্ত্রের উৎক্ষেপণ সেনাদের প্রস্তুতি যাচাই ও উন্নত নেভিগেশন ও ম্যানুভারিং সক্ষমতা পরখ করার জন্য করা হয়েছে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
`সিন্ধু মহড়া`র অংশ হিসেবে এই উৎক্ষেপণ পরিচালিত হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এএফএসসি) এর কমান্ডার, কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কৌশলগত সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। আইএসপিআর উৎক্ষেপণের একটি ভিডিওও প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা সংশ্লিষ্ট সেনা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সের সক্ষমতা ও প্রস্তুতির প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।
এই উৎক্ষেপণ এমন এক সময় ঘটল, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ২২ এপ্রিল পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে ইসলামাবাদ দাবি করছে, ভারতের অভিযোগের কোনো প্রমাণ এখনো উপস্থাপন করা হয়নি।
এরইমধ্যে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ভিসা বাতিল এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করেছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান ভারতের কূটনীতিক বহিষ্কার, শিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি ও সীমান্ত পথ বন্ধ করে দেয়।
দুই দেশই একে অপরের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার সীমান্ত এলাকায় পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালায়, আর শুক্রবার ভারতের পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের কাছ থেকে সামরিক হামলার নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য তারা পেয়েছে। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দিনের বৈঠকে সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল।