প্রিগোশিনের মৃত্যুতে পুতিনের হাত আছে: হোয়াইট হাউস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ৩০, ২০২৩, ০২:১৫ পিএম

প্রিগোশিনের মৃত্যুতে পুতিনের হাত আছে: হোয়াইট হাউস

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর পেছনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে। এমনই স্পষ্ট দাবি করল হোয়াইট হাউস।

ব্রিটিশ বার্কা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, প্রিগোশিনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনুমেয় ছিল। রাশিয়ায় এমন ঘটনা খুব একটা ঘটে না, যার পেছনে পুতিনের প্রভাব থাকে না। আমরা সবাই জানি, বিরোধীদের হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস আছে ক্রেমলিনের।

হোঢাইট হাউসের এই মুখপাত্র আরও বলেন, একটু খেয়াল করলেই বিষয়টি বোঝা যাবে, রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনেই সব হয়েছে। সেখানে যা হয়েছে অনেকটা স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট  সন্ধ্যায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয় একটি উড়োজাহাজ। বিধ্বস্ত ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনসহ ৭ আরোহী ও ৩ ক্রু ছিলেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রিগোশিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। এ অসন্তোষের কারণেই বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ভাগনারের যোদ্ধারা। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি।

প্রিগোশিনের বিদ্রোহের জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। পরবর্তী সময়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন প্রিগোশিন। পরে প্রিগোশিনসহ ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যান। তবে ভাগনার প্রধান প্রিগোশিনের প্রকৃত অবস্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা রয়েই গেছে।  তার বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুর বিষয়টিতে সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।

Link copied!