মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন।
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এই সাবেক প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড জুরি। এই মামলার অভিযোগপত্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক জালিয়াতির ৩০টিরও বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
অভিযোগ উঠেছে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ সম্পর্কের তথ্য লুকিয়ে রাখতে স্টর্মি ড্যানিয়েলকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে স্টর্মি ড্যানিয়েল দাবি করেছেন। তবে এ সম্পর্কের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করে ট্রাম্প দাবি করছেন, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
গ্র্যান্ড জুরির কার্যক্রম গোপন রাখা হলেও মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আগে একজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রায় ৩০ মিনিট সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প একটি বিবৃতি বলেন, ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং নির্বাচনী হস্তক্ষেপ এটি। আমি বিশ্বাস করি এর প্রভাব জো বাইডেনের ওপর ব্যাপকভাবে পড়বে।
তিনি বলেন, আমেরিকার জনগণ বুঝতে পেরেছে যে উগ্র বাম ডেমোক্র্যাটরা এখানে ঠিক কী করছে। আমাদের পার্টি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। আমাদের আন্দোলন প্রথমে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগকে পরাজিত করবে। পরে আমরা জো বাইডেনকে পরাজিত করব।