‘এ গ্রেড জাল নোট গ্রুপ’ নামে ফেসবুকভিত্তিক জাল টাকার কারবারের একটি চক্রের মাধ্যমে ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকার জাল নোটের একটি ডেলিভারি দেয়। গত ১৯ মে ২ লাখ টাকার ডেলিভারির জন্য তৈরি করা জাল নোট এবং মেশিন ও সরঞ্জামাদিসহ র্যাবের ৩ কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে।
জাল টাকা তৈরি চক্রের অন্যতম সদস্য মো. মেহেদী হাসান (১৯)। র্যাবের হাতে আটক বাকি দুজন হলেন মো. শাহজাদা আলম (৩৩) ও আবু হুরায়রা ওরফে তুষার (২২)।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব জানায়, অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে ৯০০টি ২০০ টাকার জালনোট এবং ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট মিলিয়ে সর্বমোট ২ লাখ টাকার জাল টাকা জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি করে ল্যাপটপ, ল্যাপটপ ব্যাগ, কিবোর্ড, পেনড্রাইভ, দুটি করে মাউস, ল্যাপটপ চার্জার, ১০টি বিশেষ মার্কার পেন, টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত ২টি বিশেষ প্রিন্টার, টাকার ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য চারটি টোনার কার্টিজ, ২ রিম সাদা কাগজ, একটি ফয়েল পেপার রোল, ৩টি স্টিলের স্কেল, ৩টি অ্যান্টি কাটার, একটি কাঁচি, ৪টি মোবাইল, ৮টি সিমকার্ড, ১টি এনআইডি কার্ড, ৩টি মানিব্যাগ এবং নগদ ৩ হাজার ৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০ টাকা নোটের ১০ হাজার টাকার জাল নোট তৈরিতে তাঁদের খরচ হতো ২০০ টাকা। ১ লাখ টাকা তৈরিতে আনুমানিক খরচ হতো ২০০০ টাকা।
এসব তৈরি করা জাল নোট বিক্রির জন্য শাহজাদা ও তুষার ফেসবুকে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের পোস্টে জাল টাকা ক্রয়ে আগ্রহীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করতেন। পরে তাঁরা ফোনে যোগাযোগ করে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহের কাজ করতেন।