জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড যারা চালিয়েছে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে সবার সাথে কথা চলছে। সকলে একমত হলেই শিগগিরিই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে আছেন। এরই মধ্যে আন্দোলনে দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এতে একমত হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘তবে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার চাইলে আরও নির্বাচন আরও ৬ মাস পেছাতে পারে।’
চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিটিশ এমপি রুপা হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাতে রুপা হক নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানতে চাইলে ড. ইউনূস পরবর্তী নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়ের কথা জানান। একটি এ বছরের ডিসেম্বর, আরেকটি ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তিনি বলেন, ‘মানুষ কতটুকু সংস্কার চায়, তার ওপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের তারিখ।’