আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যাপ বাংলাদেশ-ভারত-ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনার একটি চলচ্চিত্রে সহ-প্রযোজক হিসাবে যুক্ত হয়েছেন। ‘সোলো’ বা ‘একা’ নামের এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন ভারতীয় চ্লচ্চিত্র নির্মাতা সুমন সেন। তার সঙ্গে মিলে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বাংলা ও হিন্দি ভাষায় তৈরি হবে এটি।
ঢাকা বা ঢালিউডের নির্মাতা জুটি আরিফুর রহমান ও বিজন ইমতিয়াজ এর আগে তৈরি করেছিলেন ‘মাটির প্রজার দেশে’। যা বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত। তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুপী-বাঘা প্রোডাকশনের ‘একা’ এবার কান উৎসবের ‘লা ফেব্রিক সিনেমা’য় নির্বাচিত হয়েছে।
ফ্রান্স সরকারের ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট প্রতি বছর কান উৎসব চলাকালে লে সিনেমাস দ্যু মন্দ প্যাভিলিয়নে আয়োজন করে লা ফেব্রিক সিনেমা (দ্য সিনেমা ফ্যাক্টরি)। যাতে বিভিন্ন দেশের তরুণ নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
এবার অনুরাগ কাশ্যপ এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সিনেমাটির কাজে আরও গতি আসবে বলে মনে করছেন গুপী-বাঘা প্রোডাকশনসের বিজন ইমতিয়াজ ও আরিফুর রহমান।
নির্মাতা আরিফুর রহমান এ বিষয়ে দ্য রিপোর্টের বিনোদন প্রতিবেদককে বলেন,‘ কাশ্যপ ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুড ব্যাড ফিল্মস অফিসিয়ালি আমাদের সঙ্গে সহ-প্রযোজক হিসাবে যুক্ত হয়েছেন। বিজন ( গুপি বাঘা প্রোডাকশান লিমিটেডের কর্ণধার ও এই চলচ্চিত্রের আরেকজন নির্মাতা) আরও কিছুদিন পর কান থেকে ফিরবেন।’
আরিফুর আরও বলেছেন, আমি বর্তমানে বিমানবন্দরে রয়েছি, ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছি। ঢাকায় ফিরে প্রজেক্টের বাকি কথা বলতে পারব।’
এর আগে গুপি বাঘা প্রোডাকশনস লিমিটেডের অফিসিয়াল পেজে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দলের সদস্যদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিটিতে গুপি বাঘা প্রোডাকশনসের প্রতিষ্ঠাতা বিজন ইমতিয়াজ ও আরিফুর রহমানের সাথে পরিচালক সুমন সেন, ডমিনিক ওয়েলনস্কি এবং অনুরাগ কাশ্যপ রয়েছেন।
আরিফুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমরা যারা ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম তৈরি করি, তারা আসলে খুব একটা সাপোর্ট পাই না। ফলে নানা ধরনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়। নতুন এ ছবিতে অনুরাগের যুক্ত হওয়ায় আমরা মানসিকভাবেও সেই সাপোর্ট পাচ্ছি। আগামী ১-২ বছর বেশ দ্রুতগতিতেই কাজ এগুবে।’
‘একা’ সিনেমাটি বিপ্লব নামের এক ৫৬ বছর বয়সী বিমা কর্মকর্তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। একঘেয়ে মধ্যবিত্ত জীবন আর তার ভালো লাগে না। প্রতিদিন ভিড়ে গাদাগাদি করে পাবলিক বাসে চেপে অফিস যাওয়ার পথে শহরের মূল চত্বরে নির্মিতব্য এক বিশাল ভাস্কর্যের পায়ের আঙুল নজরে পড়ে তার। জীবনের নানা চাপ বিপ্লবকে ধীরে ধীরে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। ক্ষোভ থেকে একসময় তিনিই ডাক দেন এক গণবিদ্রোহের।