করোনা মহামারীর কারণে এক বছরের বিরতি শেষে আগামীকাল (সোমবার) থেকে দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)।
এ টুর্নামেন্ট দিয়ে করোনা পরবর্তীকালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। এর আগে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে সীমিত সংখ্যক খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়েছিলেন। এবার সারাদেশের ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন।
ইতোমধ্যে লিগের প্রথম দুই রাউন্ডের সূচি ঘোষণা করেছে বিসিবি। দেশের সাতটি বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোসহ মোট আটটি দল অংশ নিবে। আগের আসরের ফলাফলের ভিত্তিতে দুই স্তরে দলগুলোকে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম স্তরে রয়েছে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা, সিলেট, ঢাকা এবং রংপুর। আর দ্বিতীয় স্তুরে রয়েছে, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা মেট্রো ও বরিশাল।
পয়েন্ট টেবিলের চিত্র অনুযায়ী, প্রথম স্তরের নীচের সারির দল দ্বিতীয়স্তরে চলে যাবে। আর দ্বিতীয় স্তরের উপরের সারির দল প্রথম স্তরে খেলার সুযোগ পাবে।
আগামী ২২ থেকে ২৫ মার্চ প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে দু’টি করে, সর্বমোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক খুলনা। এই স্তরের আরেক ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে লড়বে ঢাকা ও রংপুর।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক রাজশাহী ও চট্টগ্রাম। ঐ স্তরের ম্যাচে বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে লড়বে ঢাকা মেট্রো ও বরিশাল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে দেশের অন্যতম প্রধান প্রথম শ্রেণির আসরটি ‘বঙ্গবন্ধু ২২তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ’ নামে শুরু হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিসিবির সকল ইভেন্ট বঙ্গবন্ধু নামে নামকরণ করা হবে।
করোনার কারনে দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর ক্রিকেট মাঠে গড়ানোর পর দু’টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ। তিন দলকে নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও পাঁচ দলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ মাঠে গড়ায়। কিন্তু দু’টি টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছিলো। তাই করোনার সময়ে স্বাভাবিকভাবে এনসিএল প্রথম ঘরোয়া টুর্নামেন্ট।
আট দলের স্কোয়াড
ঢাকা
নাদিফ চৌধুরী, শুভাগত হোম, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, আবদুল মজিদ, রনি তালুকদার, তাইবুর রহমান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নাজমুল ইসলাম অপু, সুমন খান, সালাউদ্দিন শাকিল, হোসেন আলি, শাহবাজ চৌহান, জয়রাজ শেখ ইমন ও আরাফাত সানি জুনিয়র।
ঢাকা মেট্রো
সাদমান ইসলাম, আনিসুল ইসলাম ইমন, শামসুর রহমান শুভ, মার্শাল আইয়ুব, আল আমিন, আজমির আহমেদ, রাকিবুল হাসান, আসিফ হাসান, জাহিদুজ্জামান সাগর, শহিদুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, জাবিদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মানিক খান।
বরিশাল
মইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ফজলে রাব্বি মাহমুদ, সালমান হোসেন ইমন, সৈকত আলি, আবু সায়েম চৌধুরী, মইন খান, সোহাগ গাজী, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মনির হোসেন খান, তানভীর ইসলাম, নুরুজ্জামান, শামসুল ইসলাম অনিক ও লিঙ্কন দে সঞ্জয়।
খুলনা
তুষার ইমরান, ইমরুল কায়েস, জিয়াউর রহমান, কাজী নুরুল হাসান সোহান, নাহিদুল ইসলাম, মইনুল ইসলাম সোহেল, আবদুল হালিম, টিপু সুলতান, ইমরানুজ্জামান, রবিউল ইসলাম রবি, মাসুম খান টুটুল, মুসাদ্দেক ইফতেখার রাহি, অমিত মজুমদার ও মিনহাজুর রহমান।
রাজশাহী
জহুরুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, জুনায়েদ সিদ্দিকী, ফরহাদ হোসেন, অভিষেক মিত্র, তৌহিদ হৃদয়, সাব্বির রহমান, প্রিতম কুমার, ফরহাদ রেজা, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মোহর শেখ অন্তর ও আসাদুজ্জামান পায়েল।
রংপুর
সোহরাওয়ার্দি শুভ, সাজেদুল ইসলাম, নাইম ইসলাম, নাসির হোসেন, আরিফুল হক, ধিমান ঘোষ, মাহমুদুল হাসান লিমন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জাহিদ জাবেদ, আকবর আলি, রিশাদ হোসেন, আলাউদ্দিন বাবু, তানবীর হায়দার খান ও মোহাম্মদ নুর আলম সাদ্দাম।
সিলেট
ইমতিয়াজ হোসেন, শাহনাজ আহমেদ, তৌফিক খান তুষার, অমিত হাসান, জাকির হাসান, জাকের আলি অনিক, অলক কাপালি, আসাদউল্লাহ গালিব, রাহাতুল ফেরদৌস জাবেদ, এনামুল হক, আবু জায়েদ রাহি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ রেজাউর রহমান রাজা।
চট্টগ্রাম
মুমিনুল হক সৌরভ, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, নাইম হাসান, নোমান চৌধুরী, ইফরান হোসেন, মেহেদী হাসান রানা, মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন ইমন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, ইরফান শুক্কুর, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদত হোসেন দিপু, হাসান মুরাদ, পিনাক ঘোষ ও সাদিকুর রহমান।