শেষ পর্যন্ত মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে কোনো ভাবেই জয় তুলে নিতে পারল না বাংলাদেশ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠত ম্যাচের শুরু থেকে দাপুটে ফুটবল খেলে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও সফল হতে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচে সম্ভাব্য সব কিছুই করেছিল তারা। শুধুমাত্র গোলটিই পায়নি। গোল মিসের মহড়া দিয়েছেন ফুটবলাররা। ফলে সফরকারী মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
চলমান ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পেল না লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এর আগে স্বাগতিক মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে তারা। নতুন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা অধীনে দুটি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পেল না বাংলাদেশ। আগামী জুনে বাংলাদেশ খেলবে এশিয়ান বাছাই পর্বে। এ বাছাই পর্বে ৮ জুন বাহরাইন, ১১ জুন তুর্কেমেনিস্তান ও ১৪ জুন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ফুটবল দল।
মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে দর্শক ফিরেছে। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ। কিন্তু একের পর এক সুযোগি মিস করে দর্শকের হতাশ করেছেন ফুটবলাররা। হোম অ্যাডভান্টেজ পেয়েও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাননি তারা। পুরো ম্যাচে মাঠের নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশ। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন জামালরা। একের পর এক সুযোগও তৈরি করেন তারা।
৪০ মিনিটে সুমন রেজার নেওয়া শট মঙ্গোলিয়ার গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। আরও বেশ কয়েকটি দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সাফল্য আসেনি। ৬০ মিনিট পর্যন্ত একাদশ অপরিবর্তিত রাখেন কোচ কাবরেরা। সুমন রেজাকে তুলে নাবীব নেওয়াজ জীবনকে মাঠে নামিয়ে একাদশে প্রথম পরিবর্তন আনেন তিনি। ৭৫ মিনিটে জামাল ভূঁইয়াকেও মাঠ থেকে তুলে নেন। শেষ দিকে মাঠে নামার সুযোগ পান লং থ্রো স্পেশালিস্ট রায়হান হাসান। খেলা শেষ হওয়ার অন্তিম সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি এই ডিফেন্ডার। তার নেওয়া শটে বল গোলপোস্টের বেশ ওপর দিয়ে চলে যায়। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের নেওয়া অনেক শটে বল গোল পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের তুলনায় সেভাবেই আক্রমণই শাণাতে পারেনি মঙ্গোলিয়া দল। তবে বাংলাদেশের সাথে ড্র করেই সন্তুষ্ট হতে পারে সফরকারী ফুটবলাররা। আগামী জুনে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব খেলবে মঙ্গোলিয়াও। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের যাছাই করে নিল ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি। অন্যদিকে মালদ্বীপে হেরে আসার বাংলাদেশ মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে হতাশা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ফুটেনি জামাল, ইব্রাহিম, সোহেল রানাদের মুখে। আগ্রাসী ফুটবল খেলেও গোল তুলে নিতে পারেনি তারা। প্রায় একুশ বছর পর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর আগে দুদল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেবার বাংলাদেশ-মঙ্গোলিয়া ২-২ গোলে ড্র করেছিল।