এবার যুক্তরাজ্যের সবুজ তালিকায় যাওয়ার আশা বাংলাদেশের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০৪:৩৯ পিএম

এবার যুক্তরাজ্যের সবুজ তালিকায় যাওয়ার আশা বাংলাদেশের

যুক্তরাজ্যের করোনা সতর্কতামূলক ‘লাল তালিকা’ পেরিয়ে এবার ‘সবুজ তালিকায়’ প্রবেশের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। আগামী ৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ভ্রমণব্যবস্থা পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ‘সবুজ তালিকার’ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করছে ঢাকা।

আগামী ৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্য সরকার তাদের ভ্রমণব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে। পর্যালোচনায় ভ্রমণসংক্রান্ত লাল, হলুদ ও সবুজ দেশের বিদ্যমান তালিকা বাদ যাবে। তখন শুধু একটি তালিকা থাকবে। তা হলো ‘লাল’। লাল তালিকায় যেসব দেশের নাম থাকবে না, তারা ‘সবুজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

লাল তালিকার বাইরের অর্থাৎ সবুজ তালিকার অন্তর্ভূক্ত দেশগুলো থেকে ইংল্যান্ডে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের মধ্যে যাদের যুক্তরাজ্য অনুমোদিত করোনার টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া আছে, তাদের আর কোভিড-১৯-এর প্রি-ডিপারেচার পরীক্ষা করাতে হবে না। নতুন এই ব্যবস্থা স্থানীয় সময় ৪ অক্টোবর ভোর চারটায় কার্যকর হবে।

বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। আগামী ৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ভ্রমণব্যবস্থার পর্যালোচনায় বাংলাদেশকে সবুজ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের ভ্রমণসংক্রান্ত ‘লাল তালিকা’ থেকে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনের সরকার। স্থানীয় সময় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪ টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শাপস এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেন। এবং দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে ১৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য গৃহীত নতুন ব্যবস্থার কথাও জানানো হয়।

‘লাল’ তালিকা থেকে বাদ যাওয়া বাংলাদেশ ছাড়া অন্য সাতটি দেশ হলো পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, তুরস্ক, ওমান, মিসর ও কেনিয়া। এই আট দেশ যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টায় দেশটির সরকারের ভ্রমণসংক্রান্ত ‘হলুদ’ তালিকায় চলে যাবে।

‘হলুদ’ তালিকায় যাওয়ার অর্থ হলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর যেসব ভ্রমণকারীর যুক্তরাজ্য অনুমোদিত করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া আছে, তাদের ইংল্যান্ডে গিয়ে আর ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।

তবে এই ভ্রমণকারীদের ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর দিন একটি কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা বা তার আগে তাঁদের একটি কোভিড-১৯ প্রি-ডিপারেচার পরীক্ষা করতে হবে।

এ ছাড়াও যারা যুক্তরাজ্য অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ পাননি, তারা অবশ্যই ইংল্যান্ডে প্রবেশ করে যেখানে অবস্থান করবেন সেখানে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এবং ইংল্যান্ডে প্রবেশের পর দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত করোনার টিকাগুলো হলো, ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসন।

Link copied!