বন্ধ লাইব্রেরি: জীবন যুদ্ধে এখন উদ্বাস্তু শিক্ষার্থীরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১, ১০:১৫ পিএম

বন্ধ লাইব্রেরি: জীবন যুদ্ধে এখন উদ্বাস্তু শিক্ষার্থীরা

প্রথম দেখায় যুদ্ধ থেকে পলাতক উদ্বাস্তু বা শরনার্থী শিবির মনে হয়। তবে কাছে গেলেই নতুন এক যুদ্ধের সাথে পরিচিত হতে হবে। চাকরি নামের সোনার হরিণ পেতে জীবন যুদ্ধে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে বসে পড়াশুনাও সুযোগ হচ্ছে না তাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান পাঠাগারে গতকাল দুপুরে ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।

আজ শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। নিরবিচ্ছিন্ন পরিবেশে পড়াশুনা করবে এই আশাতেই শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে যায়। কিন্তু করোনার অজুহাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় উপায়ন্ত না দেখে বাধ্য হয়ে লাইব্রেরির বাইরে চেয়ার-টেবিল ও মাদুর বিছিয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। যারা চেয়ার টেবিলে জায়গা পাননি তারা পাটি বিছিয়ে বা মেঝেতে বসেই কড়া রোদের মধ্যে পড়াশোনা করছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে এ বিষয়ে তারা প্রতিবেদককে কোন মন্তব্য প্রদান করতে রাজি হয়নি। তাদের সংকোচ লাইব্রেরির বারান্দায় পড়ায় যায়গাও যেন উচ্ছেদ না হয়ে যায়।

২৮ জানুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তর দেশের সকল গ্রন্থাগার ৩ ফেব্রুয়ারি খুলে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করলেও, ঢাবির গ্রন্থাগারগুলো খোলা হয়নি এখনও।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্চের ১৩ তারিখে সীমিত আকারে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধু অনার্স শেষ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ধাপে ধাপে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে হলে ওঠার সুযোগ প্রদান করা হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুললেও লাইব্রেরি খোলার ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দ্য রিপোর্টকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. এম নাসিরুদ্দিন মুনশী। তিনি বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ যখনই বলবে তখনই লাইব্রেরি খুলতে পারব আমরা।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রীসভা বৈঠকে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছরের ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় লাইব্রেরি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তাই এ দিনটিকে জাতীয় লাইব্রেরি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

Link copied!