মার্চ ৫, ২০২২, ১০:১৩ এএম
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোর দখল নিতে হামলা আরও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভসহ পূর্ব ও উত্তর ইউক্রেনে রাশিয়া তাদের টার্গেটগুলো দখল করতে লড়াই করলেও দক্ষিণ ইউক্রেনে সাফল্য পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।খবর বিবিসির।
ক্রেমলিন মনে করছে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলই হবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতোমধ্যেই কিছু শহর তারা দখল করেছে। সবশেষ তারা জেপোরেঝিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও দখল করে নিয়েছে।
দক্ষিণে তাদের এই অভিযান শুরু হয়েছে মূলত ক্রাইমিয়া দিয়ে। ২০১৪ সালে এটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় রাশিয়া। এখন সেখানে রাশিয়ার বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। রুশ সেনারা ক্রাইমিয়ার দিক থেকেই ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে এবং ধীরে ধীরে তারা পূর্বদিকে মারিয়োপল ও পশ্চিম দিকে ওডেসার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এর মাধ্যমে তারা ইউক্রেনের সমুদ্র যোগাযোগ বন্ধের হুমকি দিয়েছে যা হবে দেশটির অর্থনীতির জন্য চরম ক্ষতিকর।
ডিকিনসন কলেজের রাশিয়া বিশেষজ্ঞ প্রফেসর কার্ল কুয়ালস এ বিষয়ে বিবিসিকে বলেন, “কৌশলগত দিক থেকে ওই অঞ্চলে বড় বন্দর আছে যা পুতিন বাহিনীকে সাগর পথে ইউক্রেনের জন্য আসা সরবরাহ বন্ধ করে দিতে সহায়তা করবে।”
ক্রাইমিয়ার পূর্ব দিকে রুশ বাহিনী মারিয়োপলের দিকে যাচ্ছে। শহরটিতে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ বাস করে। ইতোমধ্যেই পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে বলে অধিবাসীরা জানিয়েছেন।
মারিয়োপলের পতন হলে এটি রাশিয়াকে ইউক্রেনের একটি বড় বন্দরের নিয়ন্ত্রণ পেতে সহায়তা করবে। একই সাথে এটি ক্রাইমিয়া ও রাশিয়া সমর্থিত লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের সাথে একটি সড়ক করিডোর প্রতিষ্ঠা করবে। এতে করে রাশিয়া থেকে সরাসরি ক্রাইমিয়াতে মালামাল ও মানুষ পরিবহন সহজতর হবে যা রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকেই পাওয়ার চেষ্টা করে আসছে।
এখন এই উপত্যকার সাথে রাশিয়ার যোগসূত্র হিসেবে আছে একটি মাত্র সেতু যা অনেক অর্থ ব্যয় করে তৈরি করেছে রাশিয়া।